সালাতুত তাছবিহ নামাজের বিবরণ
সালাতুত তাছবীহ অত্যম্ত ফযীলতপূর্ণ নামায। এই নামাযে তিনশতবার তাছবীহ পাঠ করা হয় তাই সালাতুত তাছবীহ বলা হয়। হাদীসে আছে এই নামায পড়লে আল্লাহপাক আপনার আগের পাছের, পুরাতন এবং নতুন,ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত, ছোট বড়, গোপনে করা, প্রকাশ্যে করা যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন। এই নামায সম্ভব হলে দৈনিক একবার, তা না হলে সপ্তাহে একবার, তা না হলে মাসে একবার, যদি তাও না হয় বছরে একবার পড়া উচিত।
যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাযটা পড়ে নিবেন।
বিখ্যাত ওলামায়ে কেরামদের মতে,বিপদ-আপদ এবং চিন্তার অবসানের জন্য সালাতুত তাছবীহের চেয়ে কার্যকরী জিনিস আর নেই
"সোবহানাল্লহ আলহামদুলিল্লাহ অলা ইলাহা ইল্লাল্লহু আল্লহু আকবর"।
১। প্রথমে সালাতুত তাছবীহ নামায ৪ রাকআত নফল নামাযের নিয়্যত করতে হবে।
২। তারপর সানা,সূরা ফাতিহা,যে কোন একটা সূরা পড়ার পর উপরোক্ত তাসবীহ ১৫ বার পড়তে হবে।
৩।রূকুতে গিয়ে রূকুর দোআ পড়ার পর একই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে।
৪।রূকুর কাজ শেষ হলে সামিআল্লহু............হামদ বলার পর দাঁড়িয়েই ওই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে ।
৫।এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর একই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে ।
৬।একটি সিজদা হতে উঠে বসেই ১০ বার পড়তে হবে ।
৭।তারপর দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর ১০ বার পড়তে হবে ।
৮।দ্বিতীয় সিজদা হতে উঠে বসে আবারও ১০ বার পড়তে হবে ।
এক রাকআত শেষ হল। ঠিক একই নিয়মে আরও ৩ রাকআত নামায পড়তে হবে। সর্বমোট এক রাকআত নামাযে উপরোক্ত তাসবীহ ৭৫ বার পড়তে হবে। ৪ রাকআত নামাযে ৩০০বার হবে।
**মাঝ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার আগেই ১০ বার পড়তে হবে । এবং শেষ বৈঠকে ১০ বার পড়ার পর আত্তাহিয়্যাতু ,দরূদ শরীফ,দোআ মাছুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতে হবে।
এই নামায যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়া যায়। মাকরূহ সময় ব্যতীত দিনে-রাতে যে কোন সময় এই নামায পড়া যায়।
Devoloped by: মোঃ আল আমিন