কছর নামাজের বিবরন
কছরের নামাজ হচ্ছে মুসাফিরদের জন্য, এককথায় আমরা বুঝে নেই যে দূরে কোথাও ভ্রমনে বের হলে যে নামাজ পড়তে হয় সেটাই কছরের নামাজ আবার আসুন প্রকৃত নিয়মটি জানি যে কতটুকু দূরত্তের জন্য এটা সঠিক।। কছর নামাজ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ দেখা যায় কিন্তু শরীয়ত অনুযায়ী প্রকৃত নিয়মটি হচ্ছে, নিজ এলাকা থেকে ৪৮ মাইল আর কিলোমিটার হিসেবে ৭৭ কি.মি. (আবার অনেক আলেম ওলামা দের মতানুসারে ৮০ কি.মি.) দূরত্ব অতিক্রম করে ১৫ দিনের কম সময় সেই স্থানে অবস্থানের ইচ্ছা করলে সেই ব্যাক্তি মুসাফির বলে গন্য হবেন। আর ওই ব্যক্তির জন্যই কছরের নামাজ জায়েজ হবে।
মুসাফিরের জন্য ১৫ দিনের কম সময়ে ভ্রমনে যাওয়া স্থানে অবস্থান কালীন , চার রাকায়াত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো দুই রাকায়াত পড়তে হবে। যেমনঃ যোহরের চার রাকাত, আছরের চার রাকায়াত, এশার চার রাকায়াত এর পরিবর্তে মাত্র দুই রাকায়াত পড়বেন।। দুই অথবা তিন রাকায়াত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের জন্য কোন কছর নেই, একিভাবে সুন্নত ও নফলের জন্যেও কোন কছর আদায় করতে হবেনা। এক্ষেত্রে মনে রাখার বিষয় হচ্ছে, মুসাফির ব্যাক্তি যদি জামায়াতে নামাজ আদায় করেন তাহলে তাকে পুরো নামাজ আদায় করতে হবে তখন তিনি কছর করতে পারবেন না।। আরেকটি গুরুত্তপূর্ন বিষয় মনে রাখতে হবে সেটি হলো, মুসাফীর যদি উক্ত স্থানে নামাজের কোন জামাতের ইমাম হয়ে থাকেন তাহলে তিনি কছর আদায় করতে পারবেন কিন্তু নামাজের পূর্বে অবশ্যই মুসল্লিদের অর্থাৎ মুক্তাদিগনকে সেটা বলে নিতে হবে এবং মুক্তাদিগনকে বাকী নামাজ আদায় করে নিতে বলতে হবে। আর বাকি নামাজ আদায় করার সময় মুক্তাদিগনকে সূরা কেরাত পাঠ করতে হবেনা। শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করতে যে সময় লাগে সে সময় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে তারপর রুকু করতে হবে। ইচ্ছাকৃত যদি কোন মুসাফির ব্যক্তি কছর আদায় না করেন তাহলে তার গুনাহ হবে।
"নাওয়াই তুয়্যান উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকাতাই ছালাতিল কাছরি জুহরী , ফারদুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান, ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।" মনে রাখবেন, উপরে নিয়তে যদি যোহরের কছর পড়েন তাহলেই বলবেন জুহরী, যদি আছরের কছর হয় তাহলে বলবেন আছরি, যদি এশার কছর হয় তাহলে বলবেন ইশা।।
Devoloped by: মোঃ আল আমিন